নিজস্ব প্রতিবেদক: রাঙামাটি শহরে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কথিত একটি ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার দুই ‘প্রতারক’কে আটক করেছে মোবাইল কোর্ট। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের কল্যাণপুরে অবস্থিত ‘শেয়ার পয়েন্ট স্মল বিজনেস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ নামে কথিত সংস্থাটির দুজনকে আটক করা হয়েছে। আটকরা হলো মো. নাসির উদ্দিন (৪৩) ও মোজাম্মেল হক (২৭)। এদের মধ্যে নাসির কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়ার আয়েত আলীর ছেলে এবং মোজাম্মেল সাতক্ষীরা জেলার নুপুর সর্দারের ছেলে।
আটকদের একজন নিজেকে কথিত শাখা ব্যবস্থাপক ও আরেকজন সহযোগী কর্মকর্তা পরিচয় দিতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ওসি আরিফুল আমিন জানান, দুই প্রতারককে ভ্রাম্যমাণ আদালত আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। ছয়জন ভুক্তভোগী থেকে তারা ২৭ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে, ভুক্তভোগী ছয়জনই থানায় উপস্থিত হয়েছেন। আরও অনেকের কাছ থেকেও টাকা হাতিয়ে নিতে পারে। আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিজয় কুমার জোয়ার্দার বলেন, চাকরির প্রলোভনে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে আমরা কথিত সংস্থাটির কার্যালয়ে যাই।
আটক কথিত এনজিও কর্মকর্ত রা আমাদের কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। পরে দুইজনকে আটক করে থানায় দিয়েছি। ভুক্তোভোগী ও মোবাইল কোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত ফিল্ড অফিসার পদে ৬ জন চাকরিপ্রার্থী ২৭ হাজার টাকা করে জামানত হিসাবে দিয়েছে। আজ সোমবার আরও কয়েকজনের টাকা জমাদানের কথা ছিল, তাদের বেশ কয়েকজন জেলা প্রশাসনে অভিযোগ দিলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দুজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। অন্যদিকে, ভুক্তভোগী মিথুন চাকমা জানিয়েছেন, ফিল্ড অফিসার পদে চাকরির সুবাদে আমার থেকে প্রথম ধাপে দুই হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। পরে আবার ২৫ হাজার টাকা করে মোট ২৭ হাজার টাকা নিয়েছে। আজকে শুনি, ভূয়া প্রতিষ্ঠান হওয়ায় প্রশাসন প্রতিষ্ঠানের দুইজনকে আটক করে থানায় দিয়েছে। আমরা আমাদের জমাকৃত টাকা ফেরত চাই। স্থানীয় নাছির জানায়, এদের এসব কার্যক্রম দেখে আমার সন্দেহ হয় ।
উল্লেখ্য পাহাড়ে এত এনজিও’র টাকা যায় কোথায় ? পার্বত্য চট্টগ্রাম কাজ করছে দেশি –বিদেশী অনেক গুলো উন্নয়ন সংস্থা ও দাতা সংস্থার এনজিও । ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তির পর এসব দাতা পাহাড়ে উন্নয়ন ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহন করার সুযোগে অধিকাংশ হরিলুট করছে। সরকারের পাশাপাশি পাহাড়ের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এসব সংস্থা কাজ করলে এখানকার সিংহভাগ জনগোষ্ঠি এখনো চরম দারিদ্র্যোর মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। গত ২৫ বছর ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে বেসরকারি খাতে কত হাজার কোটি টাকা উন্নয়ন হয়েছে সেই সর্ম্পকে কোন সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি কারো কাছে।